Guitar lession in bangla part 2 | তাল বা রিদম


তাল বা রিদম:
কবিতার যেমন ছন্দ, গানের তেমন তাল। তাল ছাড়া গান হয় না। তাল হলো সময়ের সাথে গানের কথার চলমান ছন্দ। তাল গঠিত হয় মাত্রা ভাগ দিয়ে। যেমন আমাদের দেশীয় সংগীতের দাদরা তাল হয় মাত্রার যার দুটি ভাগ থাকে। মাত্রা হচ্ছে তালের ক্ষুদ্রতম একক। গানে তাল বাজানো হয়, তবলা বায়া বা ড্রামের সাহায্যে। অনেক সময় গিটারের কর্ড বাজিয়েও তাল বাজানো হয়। তালের প্রতিটি মাত্রায় তবলা/বায়া বা ড্রামের এক বা একাধিক বোল বাজানো হয়, অথবা ফাঁক দেয়া হয় (বাজানো হয় না)

তাল প্রকাশ করার জন্য সুনির্দিষ্ট কোন সহজ চার্ট নেই। গিটারে বাজানোর সময় কীভাবে বাজাতে হবে তা অনেক সময় পিকের আপ বা ডাউন দিয়ে দেখানো হয়। যেমন, নীচের চিত্রে দেখানো দাদরা তালে প্রথম দু মাত্রায় পিক উপরে থেকে নীচে, এবং পরের মাত্রায় পিক নীচ থেকে উপরে বাজাতে হবে। দাদরাকে পশ্চিমা নিয়মে ওয়াল্টজ (Waltz) বলে, আর মাত্রাকে মেজার (Measure) এবং ভাগকে বার (Bar) তাল রাখার জন্য অনেকে বাম বা ডান পায়ে মৃদু আঘাত করে। দেশীয় পদ্ধতিতে তুড়ি মেরে বা হাত তালি দিয়েও তাল শেখানো হয়




পিক নীচ থেকে উপরে আর উপর থেকে নীচে বাজালে শব্দের কিছুটা ভিন্নতা হয়। তবলার ভাষায় এটাকে বলে বোল। উপর নীচ ছাড়াও অনেক সময় কাট করে বাজানো হয়। কাট করে বাজানোর পদ্ধিতটা হলো কর্ড বাজানোর পর পরই বাম হাতের আঙুলগুলো একটি তুলে ফেলা বা ঢিল করে দেয়া যাতে তারের শব্দগুলো মিইয়ে যায়। কাট বোঝানোর জন্য তীর চিহ্ণের উপর ক্রস চিহ্ন বাদেয়া হয়। যেমন নীচের ছবিতে, দ্বিতীয় তৃতীয় মাত্রায় কর্ড কাট করে বাজাতে হবে। কাট ঠিক কীভাবে করতে হবে তা জানার জন্য ভিডিও দেখুন



কর্ড বাজানোর সময় তাল এবং বোলের উপর নির্ভর করে, একটা কর্ডের ব্যপ্তি আধ মাত্রা, এক মাত্রা, দেড় মাত্রা হতে পারে। আধ মাত্রা মানে, প্রতি মাত্রায় কর্ডটি দুবার বাজাতে হবে (বা আধমাত্রা বাজিয়ে আধমাত্রা ফাঁক দিতে হবে) দেড় মাত্রা মানে, একবার কর্ড বাজিয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ সময় অপেক্ষা করতে হবে। নীচে আধ মাত্রা দেড় মাত্রার উদাহরণ দেয়া হলো



আরো কিছু রিদম:
এই রিদমগুলো আমরা বিভিন্ন কর্ডযোগে বাজাব
 
 
 
 
কর্ড প্রগ্রেসন:
উপরের রিদমগুলো অনুশীলন করার সময় আমরা নীচের কর্ড প্রগ্রেসনগুলো বাজাব। প্রগ্রেসন হচ্ছে প্রতিটি কর্ড রিদম অনুসারে বাজিয়ে, তার পরেরটি বাজাব, এভাবে শেষটি বাজিয়ে আবার প্রথম কর্ডে আসব। কোন কর্ড কীভাবে ধরতে হবে তা আমরা বিগত পাঠে দেখেছি। লেখার সুবিধার্থে মেজর বোঝানোর জন্য আমার কর্ডের নামের সাথে কিছুই দিব না, আর মাইনর বোঝানোর জন্য m দেব।

তিন কর্ডের প্রগ্রেসন
. C - E - G  - C
. D - Bm - A - D
. D - G - A - D
. D - Em - A - D
. A - D - E - A
. Am - Dm  - E - Am
. G - C - D - G
. G - Bm - C - G

চার কর্ডের প্রগ্রেসন
. C -  Dm  - Am - G - C
. C - Am  - Em  - G - C
. C - Am - Dm -  G - C
. C - E - Dm  - G - C
. C - Em - Am - G - C
. G - Em - C - D - G
. G - E - A - D  - G
. G - Am  - Em - D -  G
. G - Bm - Em - D  - G
১০. G - Bm - C - D - G

বাড়তি
. Em - G - Dm - Am - Em
. D   - Dm - C - G - D
. E - G -  Am -  C - E


ভিডিওতে আমরা সময়ের স্বল্পতার কারনে কেবল অল্প কয়েকটি প্রগ্রেসন হয়তো দেখাতে পারব। গিটারে দক্ষতা অর্জনের জন্য এই প্রগ্রেসনগুলো নিজে নিজে অভ্যাস করতে হবে। প্রথম অবস্থায় রিদম বাজানোর সময় থেকে পর্যন্ত অভ্যাস করুন। স্বাচ্ছন্য বোধ করলে পরের রিদমগুলো আয়ত্ব করতে চেষ্টা করুন।

লয় বা টেম্পো:
একটি গানের তাল কত দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে তা নির্ভর করে লয়ের উপর। একই গান দ্রুত বা ধীর লয়ে গাওয়া যেতে পারে। আরো সহজ করে বললে, উপরে কর্ড প্রগ্রেসনে আমরা প্রতিটি কর্ড এক সেকেন্ড পর পর বাজাতে পারি, দ্রুত বাজাতে চাইলে আধা সেকেন্ড পর পর বাজাতে পারি। প্রাথমিক অবস্থায় আমাদের যে কোন কিছু ধীর লয়ে বাজিয়ে শিখতে হবে। আয়ত্বে চলে আসলে তখন দ্রুত লয়ে বাজানো কঠিন হবে না।